কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : সিলেবাসের চাপ কমাতে উদ্যোগী শিক্ষাদপ্তর। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র চলতি বছরের বাকি থাকা পরীক্ষাগুলির জন্য এই সিলেবাস প্রযোজ্য হবে। সিলেবাস কতটা কমানো যাবে, তা নিয়ে শিক্ষকদের পরামর্শ চেয়েছে শিক্ষা দপ্তর। অন্যদিকে গোটা বিষয়টি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে দেখতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, কোন বিষয়ের সিলেবাসে কতটা কোপ পড়বে, সবটাই নির্ভর করছে কবে স্কুল খুলবে, তার উপর। এক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, জুলাইতে স্কুল খুললে একরকম সিলেবাস হবে। আগস্টে ক্লাস শুরু হলে সিলেবাসের ধাঁচ ভিন্ন হবে। শিক্ষা দপ্তর একাধিক পরিকল্পনা তৈরি করে রাখতে চাইছে বলে খবর। সূত্রের আরও খবর, পাঠ্যক্রম কমানোর মূল কারণ- “আম্ফান”-এর ধ্বংসলীলায় রাজ্যের ৮ জেলার ১৪ হাজারেরও বেশি স্কুলের পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাশাপাশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, আগামী ৩০ জুনের পর স্কুল খোলার ক্ষেত্রে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরফলে টানা সাড়ে ৪ মাস বা তারও বেশি সময় স্কুল বন্ধ থাকলে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পুরো সিলেবাস শেষ করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে। আবার আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবিত জেলাগুলির বহু পড়ুয়ার ঘর-বাড়িও ভেঙে গিয়েছে। বই-খাতা নষ্ট হয়েছে। অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগও নেই। এক্ষেত্রে পুরো সিলেবাস রাখা হলে পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়তে পারে। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে একাধিক শিক্ষক সংগঠন সিলেবাস কমানোর দাবি জানিয়ে এসেছে।