কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি গোটা দেশ সহ রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে বাংলা নতুন বছরও ছিল অনাড়ম্বর। লকডাউনে গৃহবন্দি সবাই। চৈত্র সেলের বাজার, হালখাতায়ও হয়নি। সবমিলিয়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। এই অবস্থা বেশ কয়েক মাস চলবে, এমনই ইঙ্গিত বিশেষজ্ঞমহলের। এই আঁচ করেই দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা বাজেট ছাঁটকাট করছেন। আবার দুর্গাপুজোয় স্পনসর পাওয়া নিয়েও সংশয় উদ্যোক্তাদের।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ, স্পনসর বা বিজ্ঞাপনদাতারা ঠিক কতখানি পুজো উদ্যোক্তাদের পাশে থাকবেন, তা নিয়ে এখনই অনিশ্চয়তার কালো মেঘ। বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসবের এখনও প্রায় ৬ মাস বাকি। এখনই অনেক উদ্যোক্তারা বাজেট ছাঁটকাট করছেন। আবার অনেকেই করোনার ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণও করছেন। করোনার জেরে দুর্গাপুজোর জৌলুস অনেকটাই কমবে তারও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
পুজোকে কেন্দ্রে করে যাঁরা রোজগার করেন, সেই মানুষগুলোর রোজগারেও পড়বে ভাঁটা, এমনই আশঙ্কা। কলকাতার নামীদামি পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা ভাবছেন, পুজোর চেহারা কি ফিরবে পূর্বের অবস্থায় ? রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে একডালিয়া এভারগ্রিন পুজোর সঙ্গে যুক্ত। তাঁর মন্তব্য, এমন কঠিন সময়ের মুখোমুখি আগে কখনও হতে হয়নি। বাজেটে অনেকটাই কাটছাঁট করে হবে। প্রতিমা থেকে মণ্ডপ, সবই ছোট করা ছাড়া কোনও রাস্তা নেই। সবমিলিয়ে দুর্গাপুজোর জৌলুস যে কমছে তা এখনই আন্দাজ করেছেন উদ্যোক্তরা।