কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : পূর্ণিমার ভরা কোটালে নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। স্থানীয় মানুষের রাত পাহারাও রয়েছে। সূত্রের খবর, বসিরহাট মহকুমায় একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। মারাত্মক ঢেউ থাকায় আবারও নদীবাঁধ ভেঙে বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ৮ জুন পর্যন্ত রাত জেগে বাঁধ পাহারা দেবেন স্থানীয় বাসিন্দারা, এমনটাও জানা যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে নদীবাঁধ দেওয়ার সময় এক শ্রমিক সাহেবখালি নদীতে তলিয়ে গিয়েছেন। আবার হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবখালি নদীর প্রায় ১ কিলোমিটার বাঁধ ভেসে গিয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় হাসনাবাদের চকপাটলি গ্রাম পঞ্চায়েতের টিয়ামারি ও খলিসাখালিতে নদীবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা যায়নি। সূত্রের আরও খবর, ভরা কোটালে এলাকার ১৬টির বেশি গ্রাম জলমগ্ন। মিনাখাঁর বুড়িনদীর বাগদিখালি স্লুইস গেট লাগোয়া এলাকায় নদীবাঁধে ভাঙন বড় আকার নিয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের পাশাপাশি এলাকায় এখন ১০টির বেশি গ্রাম জলমগ্ন। বিপদের আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ভরা কোটালের প্রভাব থাকবে। ফলে বিপদ যে-কোনও সময় আসতে পারে। তাই প্রতিটি নদীবাঁধে রাত জেগে পাহারা দিতে হবে। কোথাও কোথাও জেনারেটর চালিয়ে বাঁধে আলোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আবার বাঁধ বাঁধার জন্য মাটি ভর্তি বস্তা ও বাঁশ মজুত রাখা হয়েছে বলেও খবর।