কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: করোনার আবহের মধ্যে বর্ষা শুরু হতেই ডেঙ্গি হানা। ঋতু বদলের হাত ধরে চলে এসেছে জ্বর, সর্দি, কাশিও। চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইসব অসুখের প্রধান উপসর্গ জ্বর। ভয়টা স্বাভাবিক। তবে উপসর্গের মধ্যে রয়েছে সূক্ষ্ম কিছু তফাতও। জ্বর বা এই ধরণের উপসর্গ ২ দিনের মধ্যে না কমলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো জরুরি। চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা করোনা, সাধারণ জ্বর বা ডেঙ্গি উপসর্গে বেশ কিছু পার্থক্য বোঝানোর চেষ্টা করেছেন সেগুলি হল —
করোনা উপসর্গ: এক্ষেত্রে তাপমাত্রা থাকে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার আশেপাশে। জ্বর নামতে সময় লাগে। ৫-১০ দিন একনাগাড়ে জ্বর আসতে থাকে। প্রথমদিকে সর্দি থাকে না। মাঝেমধ্যে হাঁচি-কাশি হয়। মূলত শুকনো কাশিই দেখা যায়। মাথা যন্ত্রণা থাকতে পারে। গা, হাত-পা বা শরীরে ব্যথা হতে পারে। মূলত জ্বর আসার সময় শ্বাসকষ্ট হয়। যাঁদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তা বাড়তেই থাকে। নাক দিয়ে কাঁচা জল পড়ার সম্ভাবনা থাকে। নাক বুজে যায় কম। অনেকের গলাও খুসখুস করে। ক্লান্তি অনুভূত হয়। স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারিয়ে যায়। চোখ ছলছল করে। সঙ্গে ডায়েরিয়াও অনেকের হতে পারে।

সাধারণ জ্বরের উপসর্গ: এক্ষেত্রে খুব বেশি হলে ২-৩ দিন জ্বর থাকে। তাপমাত্রা থাকে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার আশপাশ। দ্রুত তা নেমেও যায়। সঙ্গে সর্দি থাকে। এক্ষেত্রে হাঁচি হতে পারে। তবে শুকনো কাশি বেশি হয়। কাশির সঙ্গে সর্দিও ওঠে। মাথা যন্ত্রণা না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মাংসপেশিতে ব্যথা হয় সারা শরীর জুড়ে। শ্বাসকষ্ট সাধারণত এক্ষেত্রে হয় না। নাক দিয়ে কাঁচা জল পড়ে। পরে নাকও বুজে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকের আবার গলাও খুসখুসও করে। মুখ তেঁতো হয়ে যায়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। চোখ ছলছল করতে থাকে। কারও কারও ডায়েরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ডেঙ্গির উপসর্গ: এক্ষেত্রে ৪-৫ দিন অতিমাত্রায় জ্বর হতে পারে। ১০২-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সহজে নামতে চাই না জ্বর। সর্দি থাকে না। হাঁচি-কাশিও থাকে না। মাথা যন্ত্রণা থাকে প্রবলভাবে। চোখের যন্ত্রণাও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গোটা শরীরে ব্যথা ও মারাত্মক যন্ত্রণা হতে পারে। মূলত হাড়ের অংশেই ব্যথা অনুভূত হয়। এক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট সাধারণত হয় না। নাক ও গলার সমস্যা থাকে না। ক্লান্ত লাগে শরীর। বমি ও ডায়েরিয়া হতে পারে। মাড়ি ও নাক থেকে রক্তপাতের পাশাপাশি বমি, প্রস্রাব ও মলের সঙ্গে রক্তও বের হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।