কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবনের ফুসফুস ঘন ম্যানগ্রোভ এখন আম্ফান তাণ্ডবে ফাঁকা ফাঁকা। সুন্দরবনের বাদাবনকে ক্ষতবিক্ষত করেছে আম্ফান ঝাপটা। সুন্দরী, গরান, গেওয়া, হেঁতাল সহ নানাবিধ বৃক্ষ ঝড়ের তাণ্ডবলীলায় জরাজীর্ণ। সুন্দরবনের গবেষক-বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে বলছেন, সুন্দরবনের আসল ভিত নড়ে গিয়েছে। সুন্দরবনের ফুসফুস ম্যানগ্রোভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আরও বিপদ বাড়বে।
আম্ফান সাইক্লোনে নদীর পাড় জুড়ে ন্যাচারাল ম্যানগ্রোভের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ন্যাচারাল ম্যানগ্রোভ তৈরি না হলে সমস্যা বেড়েই যাবে। নদীর পাড়ের পলি তৈরি না হলে ম্যানগ্রোভের জন্মও সেভাবে হবে না। সুন্দরবনের গবেষক-বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে নদীর পাড়ে পলি জমার কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই। নদীর পাড় ভাঙাতেই সমস্যা বেড়েছে। ন্যাচারাল ম্যানগ্রোভ নদীর পাড়ে আপনা হতেই জন্ম নেয়।
কোথাও কোথাও আম্ফান দাপটে নদীর পাড়ে থাকা ম্যানগ্রোভ নদীভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে। যার কারণে ম্যানগ্রোভ বীজ এখন আর জলে পড়বে না। ম্যানগ্রোভ জন্মাবার সম্ভাবনা কমে গিয়েছে। সুন্দরবন সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোকে রক্ষা করার পিছনে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। ম্যানগ্রোভ ধ্বংস হওয়াতেই বিপদ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন জেলাগুলিতে।
এই জঙ্গলের ঘনত্ব ফাঁকা হতেই নদীর পাড় হারিয়ে ফেলছে মাটি ধরে রাখার ক্ষমতাও। সবমিলিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।