কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: জোড়া বিপর্যয়ের মধ্যেই আজ পালিত হচ্ছে জামাইষষ্ঠী। জামাইকে তুষ্ট করার আয়োজনেও ভাঁটা। বাজার হয়ে উঠেছে আগুন। সবজি থেকে শুরু করে মাছের বাজার উর্ধ্বমুখী। আম্ফান দাপটে সবজি ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি। তাই বাজারে জোগান কম। করোনার থাবা আর আম্ফান তাণ্ডবে জামাইদের পাতে ইলিশ, পাবদা, ভেটকি তুলে দেওয়াই বড় সমস্যা। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা, তার ওপর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির জেরে মৎস্যজীবীরা বেকায়দায়।
ব্যবসায়ীদের একাংশ বলছেন, জামাইষষ্ঠীতে বিক্রিবাট্টার কথা মাথায় নেই। এখন জীবন রক্ষার লড়াই চলছে। হিমঘরে থাকা ইলিশ ও অন্যান্য মাছ অত্যন্ত চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির মাংসের দাম পৌঁছে গিয়েছে ২৫০ টাকা কেজি প্রতিতে। বর্তমান সময়ে খাসির মাংসের দাম পৌঁছে গেছে ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার কাছাকাছি। সবজির বাজারেও জোগান কম। দাম নাগালের বাইরে। অন্যদিকে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই স্পেশ্যাল থালির আয়োজন হয় বিভিন্ন রেস্তোঁরাগুলিতে। বিশেষ আয়োজনও থাকে মৎস্যদপ্তরের।
এবার এইসব ব্যবস্থা একপ্রকার বন্ধই। আবার প্রতিবছর জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে স্পেশ্যাল মিষ্টি করে থাকেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। এবার ক্রেতার অভাবে মিষ্টি তৈরি করছেন না অনেক দোকানদাররা। ক্রেতা আসা নিয়ে তাঁদের সন্দেহ রয়েছে। প্রভাব পড়ছে না কেনাকাটার বাজারেও। বাংলা নববর্ষ, চৈত্র সেল, ঈদের পর জামাইষষ্ঠীতেও মন্দা ব্যবসায়ীদের। পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় শ্বশুরবাড়ি যেতেও জামাইদের রয়েছে অনেক ঝক্কি।