কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: বাংলার জন্য বিশ্বব্যাপী অর্থ সংগ্রহে নিয়োজিত এক বাঙালি। ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের করুণ অবস্থা দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি। পশ্চিমবঙ্গে আম্ফান আছড়ে পড়ার পর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওইসব অসহায় মানুষদের কথা ভেবে এবং চোখের জল ফেলতে দেখে পরিকল্পনা ছাড়াই ফেসবুকে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি।
এ কাজের উৎসাহে তাঁর খামতি ছিল না। সূত্রের খবর, সুন্দরবন এলাকার ৬০০টি পরিবারের হাতে ৩০ কুইন্টাল চাল, ২৪ কুইন্টাল ডাল, ১৬ কুইন্টাল আলু, ৬ কুইন্টাল নুন, ৬০০ ভোজ্য তেলের বোতল সহ ত্রিপল, পলিথিন তুলে দেওয়া হয়েছে মূলত তাঁরই উদ্যোগে। লকডাউন পর্বে সোশ্যাল মিডিয়াকে ভরসা করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলার অসহায় মানুষের ত্রাণে প্রায় ৩ কোটিরও বেশি টাকা সংগ্রহ করেছেন। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার কথা মাথায় রেখে রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রমের সাহায্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অসহায় মানুষের মধ্যে তা বিতরণ করেছেন।
জীব সেবার মাধ্যমে শিব সেবাই তাঁর জীবনের মন্ত্র। হৃদয়বান এই বাঙালি মনে করেন, করোনা বিপর্যয়ে গোটা দেশ অসুস্থ। পশ্চিমবঙ্গে মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ক্ষয়ক্ষতি সীমাহীন। সূত্রের আরও খবর, তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার পাশে দাঁড়িয়েছেন দিল্লির বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা তপন সেনগুপ্ত ও ব্যবসায়ী দীপক ভৌমিকদের মতো মানুষজনরাও। জানা গিয়েছে, তাঁর ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কাতার বঙ্গীয় পরিষদ, সিঙ্গাপুর বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন ও জার্মান বাংলা পরিষদের বাঙালিরাও।
আবার কানাডা, বেলজিয়াম ও ইংল্যান্ডের বাঙালিদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন বাংলার এই দুর্দিনে সাহায্যের প্রত্যাশায়। এই হৃদয়বান বাঙালি আমলা হলেন আইআরএস দেবাশিস চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন তিনি দিল্লিতে নর্থ ব্লকে অর্থমন্ত্রকে কর্মরত রয়েছেন।