কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ করোনায় ভয় না পেয়ে, বাস্তব চিত্রটা একবার লক্ষ্য করা যাক। এই রোগের সংক্রমণ যতই ভয়াবহ হোক না কেন, মৃত্যু হার অনেকটা কম। ভয়াবহ তাঁদের ক্ষেত্রে যাঁরা অন্যান্য নানা রোগের শিকার। যেমন- ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন, কম ইমিউনিটি, কিডনি অথবা হৃদরোগ জনিত সমস্যায় ভুগছেন।যাঁদের বয়স ৫০উর্দ্ধ বা ৫ বছরের নিচে শিশুদেরও বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।আইসিএমআর-এর বক্তব্য, ৮০% সংক্রমণের ক্ষেত্রে তেমন কোনও লক্ষণ দেখা যায় না।তবে তাঁদের থেকে সংক্রমণের ভয় থাকে।এখানেই সতর্কতার প্রয়োজন।তাই আপনি সংক্রমিত হন বা নাই হন আপনাকে এইমুহূর্তে সঠিকভাবে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
মাস্ক পড়া বাধ্যতা মূলক।থ্রি লেয়ার মাস্ক পরা ভালো।মাস্কে নিত্য সঙ্গী করে নিতেও হবে। সঠিক ভাবে মাস্ক পড়তে হবে। মাস্ক পড়ার সময় নাক ও মুখ অবশ্যই যেন ঢাকা থাকে।চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।সারাদিন ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে মাস্ক ধুয়ে ফেলুন।পরে আবার শুকনো মাস্ক ব্যবহার করুন।
অযথা চোখে, মুখে ও নাকে হাত দেবেন না। বাড়িতে থাকলে বারবার সাবান দিয়ে যথেষ্ট সময় নিতে হাত ধুন।বাইরে কোথাও গেলে সঙ্গে ইনস্ট্যান্ট স্যানিটাইজারের একটি ছোট্ট বোতল রাখুন।কোনও কাজ করার আগে ও পরে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত মুছে নিন। হাতে ঘড়ি, আংটি যেন না থাকে। ধাতুতে ভাইরাসের জীবনকাল দীর্ঘ হয়। যেসব জিনিস ধোয়া যায় না অথচ বাইরে নিয়ে গেছেন, তা বাড়িতে আসার পর অন্তত ৮ ঘন্টা না ধরাই ভালো।বাড়িতে থাকলে বাইরের জামাকাপড় অবশ্যই সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।ভালো করে গরমজলে সাবান সহযোগে স্নানকরে নিতে হবে।
সর্বশেষ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবার জন্য ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে ও নিয়মিত হালকা শরীর চর্চা করলে আরো ভালো হয়।