কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত সুন্দরবন। উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে প্রশাসনের উদ্যোগে। সূত্রের খবর, সুপার সাইক্লোন আম্ফান-এ সুন্দরবনের দেড় লক্ষ হেক্টর জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আগাম সতর্কবার্তায় সাধারণ মানুষজনকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে আনার জন্য প্রাণহানি অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়। স্থানীয় সূত্রের আরও খবর, করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে প্রশাসনের নিচুস্তরে সবার কাছেই কিছু না কিছু ত্রাণসামগ্রী ছিল। “আম্ফান”-এর পরবর্তী পরিস্থিতিতে দুর্গতদের খিচুড়ি খাওয়ানো সম্ভব হয়েছে। সমস্ত ত্রাণ শিবিরে খাবার রয়েছে। কমিউনিটি কিচেনে রান্নার পরিমাণ বাড়িয়ে সুন্দরবনের দুর্গতদের একটা বড় অংশকে সাহায্য করা সম্ভব হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা জানিয়েছেন, ডায়মন্ড হারবার এলাকায় ক্ষতি সবথেকে বেশি। আবার বাঘের জঙ্গলে যেসব জায়গায় নাইলন ফেন্সিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে জরুরি ভিত্তিতে তা সারানোও হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার, বহু ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে, তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে। জানা গিয়েছে, ক্ষয়-ক্ষতি সংক্রান্ত একটি প্রাথমিক রিপোর্ট নবান্নে পাঠানো হয়েছে। সুন্দরবন বায়ো রিজার্ভেই ক্ষতি ২৫০ কোটি ছাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা। কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানান, সুন্দরবনে কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা নির্দিষ্টভাবে জানালে তিনি বন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিশেষ আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। রাজ্যকে তিনি একটি চিঠি দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।