কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ লকডাউন পর্বে চলছে না রিকশা, টোটো ও অটো। বন্ধ চালকদের উপার্জন। সামাজিক অনুষ্ঠান-সহ সভা-মিটিং-জমায়েতও বন্ধ। এরফলে ব্যবসা ভয়ানক মন্দা ইলেকট্রিশিয়ানদের। করোনার গোদের উপর বিষফোড়ার মতো “আম্ফান”-এর এই বিপর্যয়। উপার্জনহীন এই সব পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কিছুটা উপায় করে দিয়েছে এই বিপর্যয়। নতুন উপায়ে উপার্জন হচ্ছে এই সব মানুষদের। জল না থাকা বাড়িতে ট্যাঙ্কে জল তোলার কাজে ভাড়ায় পাওয়া গিয়েছে জেনারেটর। রাস্তাজুড়ে পড়ে থাকা গাছ কেটে দিচ্ছেন এলাকারই কাজ হারানো যুবক। আবার দূরের টিউবওয়েল থেকে গেরস্থের জন্য জল তুলে দেওয়া, বাড়ির উপর হেলে পড়া গাছ কাটা বা কেবল-টেলিফোনের তারের জট ছাড়ানো- সহ একাধিক কাজ করছেন তাঁরা। পাশাপাশি চার্জ হারানো মোবাইলে সামান্য টাকায় চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়াও রয়েছে এই কাজের তালিকায়। সূত্রের খবর, আম্ফান দাপটে কয়েক হাজার গাছ পড়েছে সর্বত্র। রাস্তা আটকে থাকা এত গাছ তোলার প্রশিক্ষিত লোকেরও অভাব। উপায় না পেয়ে পুরসভা বা অন্য এজেন্সি, এমনকী পাড়ার লোকের ডাকেও সাড়া দিচ্ছেন ভিন্ন পেশার অনেক যুবক। নগদ টাকার দেখা পাওয়া যাচ্ছে এবং কাজও মিলছে। শহরের অনেক পাড়াতেই ঠিকাদার সংস্থা বা পুরসভা স্থানীয় ইচ্ছুকদের অনেককেই কাজে নিচ্ছেন। জানা গিয়েছে, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী ৩ জেলার শহরাঞ্চলে সবচেয়ে বড় ব্যবসা এখন জেনারেটরের। গাছ পড়া, তার ছেঁড়া, ট্রান্সফর্মার উপড়ে যাওয়ার এই সঙ্কটকালে জেনারেটরই ত্রাতা হয়েছে বহু পাড়ায়। এই মুহূর্তে ইলেকট্রিশিয়ান-ডেকরেটরদের একটা অংশ কোথাও তা ঘন্টায় ২০০ টাকায় এবং কোথাও ৫০০ টাকায় ভাড়া খাটিয়ে চলেছেন। আবাসনের ক্ষেত্রে ২,০০০ টাকার কমে “লাইন”ই দিতে চাইছেন না বলে জানা গিয়েছে।