কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : রাজ্যের কৃষি দপ্তরের ব্যস্ততা তুঙ্গে। আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের পর ক্ষয়-ক্ষতির হিসেব ও ক্ষতিপূরণ বন্টনের কাজ চলছে। সূত্রের খবর, এককালীন সাহায্য যেমন রয়েছে। তেমনি চলছে বাংলা শস্য বিমার টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার পূর্বেই এই বিমার খরচ পুরোটাই বহন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল।
সূত্রের আরও খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে খরিফ ও রবি শস্য মিলিয়ে ইতিমধ্যে বিমার প্রিমিয়াম বাবদ ৭০০ কোটি টাকা খরচ করেছে কৃষি দপ্তর। পাশাপাশি খরিফ শস্যের জন্যই দিতে হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। কারণ, ঘূর্ণিঝড়ের খরিফ শস্য দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই বিমার অধীনে রয়েছে রাজ্যের ৪৪ লক্ষ কৃষক।
“আম্ফান”-এ ক্ষয়-ক্ষতির বহর দেখে বাকি ৩৫ শতাংশ কৃষককেও এই বিমার আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই হিসেব অনুযায়ী, আরও ৩০০-৪০০ কোটি টাকা বিমার প্রিমিয়াম খাতে খরচ করতে হবে কৃষি দপ্তরকে। কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর দূরদৃষ্টির ফলেই এখন শস্যবিমা বাবদ রাজ্যের কয়েক লক্ষ কৃষক উপকৃত হতে চলেছেন। লকডাউন পর্বে পুরোপুরি শিথিল হোক বা না হোক, তাঁর নির্দেশ মেনে জেলাওয়ারি দপ্তরের কর্মী-অফিসারদের দ্রুত মাঠে নেমে এই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।