কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : “আম্ফান” ঘূর্ণিঝড়ের দাপট। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট। সূত্রের খবর, দুপুর পর্যন্ত ঝড়ের তীব্রতা কম থাকায় কিছুটা সামলানো গিয়েছে। বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির রক্ষণাবেক্ষণের কর্মীরা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত আর রক্ষা হয়নি। দুপুরের পর থেকে “আম্ফান” ঝড়ের তীব্রতা বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি আরও সামলানো যায়নি। অন্ধকারে ডুবতে থাকে একের পর এক এলাকা। এই ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি বিদ্যুৎ না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়তে থাকে। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎ পরিকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় তার ছিঁড়ে গিয়েছে। পোল পড়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি সাবস্টেশনও বসে গিয়েছে। অন্যদিকে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং হুগলি জেলা থেকেই বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে। বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। আবার সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্যও অনেক জায়গায় সাময়িক শাটডাউন করে দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রেল ও জলপথের পরিকাঠামোরও।