কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: লকডাউন পরিস্থিতিতে উদ্ধার হল লীলা মজুমদারের পাণ্ডুলিপি। সূত্রের খবর, পুরোনো কাগজপত্রের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে এই পাণ্ডুলিপি। সন্ধান মিলল লীলা মজুমদারের ইংরেজি অনুবাদ করা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত “বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী”-র। যা ১০টি ছোট ছোট খাতায় সম্পূর্ণ রয়েছে। আবার পাওয়া গিয়েছে তাঁর করা জেমস জয়েসের বিখ্যাত গল্প “দ্য বোর্ডিং হাউস”, “অ্যান এনকাউন্টার” ও উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের কিছু নাটকের অনুবাদও।
সূত্রের আরও খবর, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত “সন্দেশ” পত্রিকার পক্ষ থেকে সৌম্যকান্তি দত্ত ও সৌরদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা উদ্যোগ শুরু করেছিলেন লীলা মজুমদারের লেখা-লিখি, কাগজপত্র, পাণ্ডুলিপি, চিঠি, ছবি প্রভৃতি নিয়ে। এক্ষেত্রে উদ্দেশ্য ছিল, লীলা মজুমদারের অপ্রকাশিত লেখাগুলি খুঁজে বই আকারে প্রকাশ করা। লকডাউন পর্বে পর্যাপ্ত অবসরে বিপুল কাগজপত্র ঘেঁটে খোঁজ পাওয়া গেল অনেক কিছুই। সন্ধান পাওয়া গিয়েছে লীলা মজুমদারকে উপহার হিসেবে দেওয়া নন্দলাল বসুর স্কেচ। আবার তাঁকে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কুমুদনাথ চৌধুরী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, আশাপূর্ণা দেবী, অন্নদাশঙ্কর রায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, সত্যজিৎ রায় সহ একাধিক বিশিষ্টজনের চিঠিপত্র।
উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে অজস্র লেখা লিখিছিলেন লীলা মজুমদার। সেগুলি একত্রিত করে বই আকারে প্রকাশের কাজ শুরু হয়েছে। বইমেলায় লীলা মজুমদারের বেশ কিছু গ্রন্থও প্রকাশ করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে খুঁজে পাওয়া লেখা-লিখি নিয়ে কবে বই তৈরির কাজ শুরু করা সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় বেড়েছে। লীলা মজুমদারের অপ্রকাশিত ইংরেজি রচনাগুলি নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন দিল্লির বেশ কয়েকজন ইংরেজি প্রকাশক, এমনটাই জানিয়েছে সৌম্যকান্তিবাবু। জানা গিয়েছে, পুরোনো কাগজপত্রের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে অজস্র ফটোগ্রাফও। রায় পরিবার ও সত্যজিৎ রায়ের বেশ কিছু দুর্লভ ছবিরও সন্ধান মিলেছে।