Home Miscellaneous গোটা বিশ্বে করোনার গ্রাস, বাড়ছে দুর্ভিক্ষের ত্রাসও

গোটা বিশ্বে করোনার গ্রাস, বাড়ছে দুর্ভিক্ষের ত্রাসও

34
0
united nation2
united nation2

কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্বে করোনার গ্রাস। এবার বাড়ছে দুর্ভিক্ষের ত্রাস। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। করোনার পর অনাহারের আশঙ্কা। তাই সতর্ক করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। করোনা সংক্রমণের জেরে গোটা বিশ্বে বহু প্রাণহানী। অনাহারের আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় আরও বিপদের হাতছানি। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জের হুঁশিয়ারি, উত্তর ও সমাধান না খুঁজলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও বড় বিশ্বব্যাপী বিপর্যয়। মোকাবিলা করতে হবে করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষকেও।

রাষ্ট্রপুঞ্জ সূত্রের খবর, গোটা বিশ্বে ৩০টিরও বেশি উন্নয়নশীল দেশে খাবারের জন্য হাহাকারের মারাত্মক চিত্র দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে এখনই। ওই ৩০টি দেশের মধ্যে ১০টিতে এখনই প্রতিদিন ১০ লক্ষ মানুষ একপ্রকার না খেয়েই দিন কাটান। এটি পূর্বাভাস না অশনি সঙ্কেত, তা নিয়ে মতবিরোধও রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ভার্চুয়াল সম্মেলনে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লুএফপি)-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডেভিড বিসলে এমনই একটি ছবি তুলে ধরেছেন।

এক্ষেত্রে ডেভিড বিসলে দাবি করেছেন, করোনা তান্ডবের পূর্বেই ২০২০ সালের মারাত্মক খাদ্যসঙ্কট নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছিলেন। সিরিয়া, ইয়েমেনের মতো দেশে যুদ্ধ, আফ্রিকায় পঙ্গপাল হানা, লেবানন, সুদান, কঙ্গো ও ইথিওপিয়ায় একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং অর্থনৈতিক সমস্যার কথা মাথায় রেখেই ওই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই এসেছে কোভিড-১৯। ফলে আরও বিপর্যয় নেমে এসেছে।

ডব্লুএফপি-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরের আরও বক্তব্য, বর্তমানে বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ৮২ কোটি মানুষ খিদে পেটে নিয়ে ঘুমোতে যান। তার ওপর রয়েছে আরও এক শ্রেণি, যাঁরা হয় ক্ষুধার্ত থাকেন বা তাঁদের পরিস্থিতি তার থেকেও খারাপ। এঁদের সংখ্যা ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ। এরসঙ্গে যদি করোনাজনিত খাদ্যসঙ্কটের প্রভাব পড়ে, তাহলে ২০২০ সালের শেষে আরও ১৩ কোটি মানুষ অনাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হবেন।

পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ১০ কোটি মানুষ জীবনধারণের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। অবিলম্বে অনুদানের পরিমাণ না বাড়ালে এঁদের মধ্যে বড় অংশের কাছে সাহায্য পৌঁছবে না। এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতি সামলাতে ২০০ কোটি ডলারের আর্জিও জানান বিসলে। তিনি সতর্ক করেছেন, দ্রুত সকলের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে না পারলে, অনুদানের ঘাটতি না পোষালে এবং বাণিজ্যিক বিপর্যয়ের পরিস্থিতি না শোধরালে কয়েক মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here