কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: মাইগ্রেনের ব্যথায় অনেককে ভুগতে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, অভ্যাস বদলে ওষুধ ছাড়াও এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মাথা ব্যথা খুবই সাধারণ উপসর্গ। কোনও মাথা ব্যথা মাইগ্রেনের আবার কোনওটা তা নয়। এটা বুঝে উঠতে অনেকটা সময় লেগে যায় রোগীর। মাইগ্রেনের উপসর্গ বলতে মাথা দপদপ করা, মাথার ভিতরে ব্যথা হচ্ছে এমন মনে হওয়া।
এই ব্যথা মাথার ডান বা বাম দিকে হয়। ক্ষেত্রবিশেষে দিক পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাথার দুদিকেই ব্যথা হতে পারে। বমি বমি ভাবও আসতে পারে। এই ব্যথা শুরু হওয়ার আগে চোখেও অস্বস্তি হয়ে থাকে। এমনকী চোখের সামনে আলোর ঝিলিক দেখা যায়। কিছু একটা চোখের সামনে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। গ্লোকোমা রোগীরও মাইগ্রেনের সমস্যা থাকতে পারে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, মাইগ্রেন জীনঘটিত রোগ। পরিবারের কারও মাইগ্রেন সমস্যা থাকলেও, হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবার মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল নার্ভ উত্তেজিত হলেও এই ব্যথা হতে পারে। আবার সেরেটোনিন নাম কেমিক্যালের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও এই ব্যথা হতে পারে। জানা গিয়েছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মাইগ্রেন সমস্যা বেশি দেখা যায়। এটি হরমোনগত বিভেদ।
মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের কারণে মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়ে। সাধারণভাবে মাইগ্রেনের ব্যথায় পেনকিলার দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে তা খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়া জরুরি বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মনে করেন। খাদ্যাভাস বদলেও মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। মাইগ্রেন সমস্যা যাঁদের রয়েছে, অতিরিক্ত কফি তাঁদের পক্ষে ক্ষতিকর।

চকলেট, রেড ওয়াইন, ড্রাইফ্রুইটস ও চিজজাতীয় খাবার না খেলেই ভাল হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইউক্যালিপ্টাস অয়েল, মিন্ট অয়েল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করলে এক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়। আবার ল্যাভেণ্ডার অয়েল সেবন করলে উপকার মেলে। চোখ ঠান্ডা রাখার জন্য টিন্টেড গ্লাসের চশমা ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই উপসর্গে ঘরোয়া কিছু পথ্যের কথা বলা হয়েছে। যেমন কাজুবাদাম, ওয়ালনাট ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় তা খেতে পারেন। আবার আদা কুচি চিবালে উপকার পাওয়া যায়। সানফ্লাওয়ার অয়েলে রান্না করা খাবার খেলে তা রোগীর জন্য ভাল হয়।