কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: রক্তে লাল হল লাদাখ। ভারত-চিন সীমান্ত উত্তপ্ত হল। সূত্রের খবর, চিনে হতাহতের সংখ্যা ৪৩ ও ভারতের ২০। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে খবর। সীমান্তের চিনা আগ্রাসনের পর ভারতের পক্ষ থেকে সেনা-সক্রিয়তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যায়। অন্য একটি সূত্রের খবর, ভারত-পাক সীমান্তের মতো ভারত-চিন সীমান্ত এত উত্তপ্ত থাকে না। দীর্ঘ কয়েক দশক গোলাগুলির শব্দও শোনেনি এলাকাগুলি।
তবে ১৯৬২ সালে থেকে এ পর্যন্ত ছোট-বড় সংঘাতের সাক্ষী থেকেছে সীমান্ত। সূত্রের আরও খবর, ৫ ও ৬ মে পূর্ব লাদাখে প্যাংগং লেকের কাছে উভয়পক্ষের সেনার মধ্যে ধস্তাধস্তি চলে। ভারত ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল কয়েকজন চিনা সেনা। এরপর ৯ মে সিকিমের নাকুলাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। ১০ মে ভারতীয় সেনা বিবৃতি দিয়ে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। পাশাপাশি ভারতের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, চিনের দিক থেকে সমঝোতা লঙ্ঘন করা হয়।

একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন করার চেষ্টা চলে। এর আগে ১৯৬২ সালে লাদাখ ও অরুণাচলপ্রদেশে হানা দে পিপলস লিবারেশন আর্মি। এটি দুই দেশের মধ্যে হওয়া সবথেকে বড় মাপের লড়াই। দীর্ঘসময় উত্তপ্ত ছিল সীমান্ত। জানা যায়, এই যুদ্ধে ৩ হাজারের মতো ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। আকসাই চিন হাতছাড়া হয় ভারতের। আবার ১৯৬৭ সালে সিকিমে চিনা অনুপ্রবেশ রুখতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সময় ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় পিএলএ।

ভারতও চিনা বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দেয়। ৩০০-র বেশি চিন সেনা মারা গিয়েছিল বলে খবর। এরপর নাথুলাতে ধাক্কা খাওয়ার পর চোলা দখলের চেষ্টা করে চিন। ভারতীয় সেনাও প্রতিরোধ করে। সংঘাতে ৮৮ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। ১৯৮৭ সালে ভারত অরুণাচলপ্রদেশকে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা দিতে আবারও ভারত-চিন বিতর্ক শুরু হয়। অরুণাচলপ্রদেশ প্রবেশ করে হেলিপ্যাড বানাতে শুরু করে। বায়ুসেনা ওইসব জিনিসপত্র তুলে নিয়ে সীমান্তে ফেলে দেয়।
আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র বের হয় সেসময়। ২০১৭ সালে ডোকলামে চিন রাস্তা তৈরির চেষ্টা করলে প্রতিবাদে সরব হয় ভারত। উভয়পক্ষের বিবাদ ৭৫ দিনের মতো স্থায়ী হয়েছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।