কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ঝড় প্রকৃতির নিয়মেই আসতে থাকে। সেজন্য নামের তালিকা তৈরি করাটাও জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। ১৩টি দেশ মিলিত হয়ে এবার ঝড়ের নামকরণ করল। সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে ওই প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। ভারত মহাসাগরের উত্তরাংশে যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় তা মূলত ভারত সহ একাধিক দেশের ওপর আছড়ে পড়ে।
ভারত ছাড়া বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডকে নিয়ে ২০০৪ সালে গঠিত হয় রিজিওনাল স্পেশালাইজড মেটেরোলজিক্যাল সেন্টার (আরএসএমসি)। গোটা বিশ্বে এমনই ৬টি আরএসএমসি রয়েছে। পূর্বে ৮টি দেশকে নিয়ে এই আরএসএমসি গঠিত হলেও ২০১৮ সালে ওমানের ম্যাসকটে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ৮টি দেশের সঙ্গে আরও কয়েকটি দেশকে সংযুক্ত করা হবে।
এরপর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মায়ানমারের বৈঠকে ৮টি দেশের সঙ্গে ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যুক্ত হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, এবার প্রত্যেকটি দেশ ১৩টি করে নাম দিয়েছে। সবমিলিয়ে ১৬৯টি নামকে চূড়ান্ত তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।
এই সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি আরও জানিয়েছেন, গড়ে প্রতিবছর ৫টি ঝড় হয়। সেই হিসেবে ধরলে আগামী প্রায় ৩৩-৩৪ বছরের জন্য ঝড়ের নাম প্রস্তুত রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ৮টি দেশ মিলিত হয়ে ৬৪টি ঝড়ের নাম দেয়। এরপর ১৬-১৭ বছর ধরে ৬৩টি নাম শেষ হয়ে গিয়েছে। কেবলমাত্র বাকি রয়েছে থাইল্যান্ডের দেওয়া ১টি নাম “উম-পুন”। এবার নতুন ঝড়ের নামের তালিকা করা হয়েছে।