কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : ভারত-চিনের ঠান্ডা লড়াই অব্যাহত। বর্তমান পরিস্থিতিতে বেজিংয়ের আগ্রাসন রুখতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেছেন। সূত্রের খবর, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ ও তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। জানা যায়, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন, চিন সীমান্তে ঠিক কী চলছে, তা দেশবাসীর সামনে সরকার তুলে ধরুক। আবার লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে তৈরি হওয়া সংঘাত ও উত্তেজনার আবহে সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই জরুরি বৈঠক দু-দিন ধরে চলবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ভারত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, চিনের সঙ্গে প্রতিটি সীমান্ত বরাবর অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হবে।
উল্লেখ্য, ৩টি সেক্টর মিলিয়ে চিনের ৫ হাজারের বেশি সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন রয়েছে। লাদাখ সীমান্তে চিন আরও ৪টি ফাইটার জেট এনেছে বলেও খবর। যা নারগি এয়ারস্ট্রিপের টারম্যাকে রাখা রয়েছে। চিন গত দু-দিনে উত্তরাখণ্ড সীমান্তেও বেশি করে সেনা আনতে শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডেও চিনের এই আচমকা সেনা মোতায়েন নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন। ভারতও সেনার একটি ব্রিগেডকে এখানে আনছে বলেও জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত ও চিনের সেনা।