কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: লকডাউনের পূর্বে একসময় বকখালি পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় উপচে পড়ত। সেই বকখালির সমুদ্রসৈকত এখন জনহীন। এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত সমুদ্রতটের কোথাও মানুষের অস্তিত্ব নেই। বকখালি পর্যটন কেন্দ্র কার্যত ভূতুড়ে দশায় পরিণত হয়েছে। দিনের বেলাতেই কোনও মানুষের দেখা নেই। সন্ধ্যার পর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে বকখালির জনহীন সমুদ্রসৈকত।
সূত্রের খবর, লকডাউন পর্যায়ে হোটেল, দোকান বন্ধ থাকায় গোটা এলাকা একপ্রকার অন্ধকারেই ডুবে রয়েছে। আবার বকখালির স্থায়ী বাসিন্দা থেকে হোটেল মালিকদের বেড়েছে উদ্বেগ। হোটেল ও পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছেন ২০-৩০ হাজার মানুষ। এইসময় তাঁরা একেবারেই বেকার হয়ে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বঙ্গোপসাগরের সীমানা ঘেঁষে বকখালি অবস্থিত। বিস্তীর্ণ সমুদ্রতট ও ঝাউবনে ঘেরা এই স্থান এখন জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্রও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হিসেবে গড়ে ওঠা এই স্থান প্রবীণ মানুষদের শেষ জীবনের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল। ধাপে ধাপে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন হোটেল গড়ে ওঠাতে বাংলা তথা বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে বেড়ানোর জায়গা হয়ে উঠেছে বকখালি। বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে কবে যে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে বকখালি, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সেখানকার মানুষ।