কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৩ জুন রথযাত্রা। পুরীর গ্রান্ড রোডে রথযাত্রা ঘিরে দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় জমান মন্দির ও শহরচত্বরে। করোনা সংক্রমণের জেরে এখন হতাশা ভক্তকূলেও। ২৮৪ বছরের প্রথা ভেঙে এবার হচ্ছে না পুরীতে প্রভু জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এসজেটিএ) সূত্রে এখবর জানানো হয়েছে।
তবে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার সূচনা হিসেবে অক্ষয় তৃতীয়া থেকে যেসব মাঙ্গলিক পূজার্চনা করা হত, তা এবার পুরীর জগৎগুরু শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতীর নির্দেশবিধি মেনে মন্দিরের ভিতরেই করা হয়েছে। সূত্রের আরও খবর, একাদশ শতাব্দীতে এই মন্দির নির্মাণ হয়। এরপর থেকে এই প্রথম ভগবান লিঙ্গরাজের “রুকুনা” রথযাত্রাও বাতিল হল। ১ এপ্রিল ওই যাত্রা হওয়ার কথা ছিল।

এসজেটিএ সূত্রে আরও খবর, প্রতি বছর অক্ষয় তৃতীয়ায় রথযাত্রার সূচনাকর্ম অনুষ্ঠান তদবির-তদারকির দায়িত্বে থাকেন পুরীর গজপতি রাজা দিব্যসিংহদেব। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঠিক কী অবস্থান নেওয়া হবে তা জানতে জগৎগুরু শঙ্করাচার্যের পরামর্শ নেওয়ার জন্য যান রাজা সহ এসজেটিএ-র কর্মকর্তারা। অন্যদিকে, মন্দির কমিটির অন্যতম সদস্য রাজেশ দৈতাপতি জানিয়েছেন, আগামী ৩ মে লকডাউন ওঠার পরে রথযাত্রা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে ঠিক হয়েছিল। লকডাউন পর্ব আরও কিছুদিন বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে প্রভু জগন্নাথের রথযাত্রা করা সম্ভব হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, যে ৩টি কাঠ বাছাই করে দেবী ও প্রভুদের রথ তৈরি হয়, সেগুলির পুজো হয়ে গিয়েছে। তবে রথগুলি বানানো যাচ্ছে না। এই জট-জটিলতার মধ্যে একাংশ চাইছেন, রাজা দিব্যসিংহদেব সেবায়ত ও প্রশাসনের কয়েকজনকে রেখে রথযাত্রা হোক। তা টেলিভিশনেও সম্প্রচারিত হোক। এক্ষেত্রে ঘরে বসেই জগন্নাথ-বলভদ্র-শুভদ্রার দর্শন পাবেন সব ভক্তরা।