কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: গোটা পৃথিবীতে নিরামিষ আহার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিরামিষ খাবারে ক্ষতিকর স্ট্যাচুরেটেড ফ্যাট, কোলেস্টেরল বা ট্রান্সফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ কম। অন্যদিকে, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেড, ডায়েটারি ফাইবার, বিভিন্ন অত্যাবশ্যক নিউট্রিয়েন্টস, ফাইটো-কেমিক্যালস ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস থাকায় স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য এটি অপরিহার্য।
আবার দেহগঠন, ক্ষয়পূরণ, দেহের ত্বক, নখ, চুল, রক্ত, মাংসপেশির গঠন ও দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের মোকাবিলার জন্য প্রোটিন প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, বয়স, ওজন, উচ্চতা, শারীরিক অবস্থা, কর্মক্ষমতা প্রভৃতির ওপর নির্ভর করে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন মোট প্রয়োজনীয় খাদ্য শক্তির ১৫-২০ শতাংশের প্রায় ৫৫-৭৫ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন হয়।
নিরামিষ খাবারের ক্ষেত্রে প্রোটিনের অন্যতম উৎস বলতে প্রথমেই ডালের কথা এসে যায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ডালের কিছু গুনাগুণ তুলে ধরা হল। মুগ, মুসুর, ছোলা, বিউলি, মটর প্রভৃতি বিভিন্ন ধরণের ডাল নিরামিষ খাবারের বৈচিত্ৰ আনার পাশাপাশি তা অত্যন্ত পুষ্টিকর হওয়ায় দেহে প্রোটিন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ করে থাকে। বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ভাত বা রুটির সঙ্গে রান্না করা ডাল আমরা খেয়ে থাকি। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলেও এর প্রচলন রয়েছে।

প্রোটিনের উৎস ডাল জাতীয় খাবারও। যেমন– ডালের ব্যাসন থেকে তৈরি বড়ি, পাঁপড় প্রভৃতি থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। ছোলার ছাতু থেকেও নিরামিষ খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন মেলে। মটরশুঁটিও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। ১০০ গ্রাম (কাঁচা ওজন) ডালজাতীয় খাবারে গড়ে প্রায় ৩৫০ কিলো ক্যালোরি শক্তি থাকে। পাশাপাশি ডিয়েটারি ফাইবার, বি-ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের উৎস ডাল। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের ডালে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস, পলিফেনলিক কম্পাউন্ড থাকায় নানা অসুখ-বিসুখের হাত থেকে আমাদের সুস্থ রাখে। আবার ডাল গ্লুটেন-ফ্রি হওয়ায় সেলিয়াক ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য উৎকৃষ্ট প্রোটিন উৎস।