কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: আজ অক্ষয় তৃতীয়া। অক্ষয় শব্দের অর্থ সাধারণভাবে আমরা জানি যার ক্ষয় নেই। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ধন, জন, অর্থ, সম্পদ যা কিছু সঞ্চিত হবে তা চিরকালই সঞ্চয় হিসেবে থাকবে। পুরাণে অবশ্য ৩টি তৃতীয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারমধ্যে রয়েছে অনন্ত তৃতীয়া, আদ্রানন্দকরী তৃতীয়া ও অক্ষয় তৃতীয়া। আধ্যাত্ম চেতনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, অক্ষয় তৃতীয়াতে দান, পূজাপাঠ, হোম, জপ যা কিছু করা যাবে তা হয়ে যাবে অক্ষয়।
আবার এই তিথিতে ব্রতকারিণী রমণী উপবাস করেন সংসার ও পরিবারের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য। এক্ষেত্রে ফল হয় অক্ষয়। আবার শাস্ত্রমতে বলা হয়েছে, এই তৃতীয়ায় বিধি মেনে ব্রত করলে চিরকালের জন্য অক্ষয় ফল লাভের সম্ভাবনা থাকে। আবারও বলা হয়েছে, বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথিতে যাঁরা উপবাস করেন, তাঁরা সঞ্চয়ের অক্ষয় ফল প্রাপ্ত হন। শাস্ত্রমতে অক্ষয় তৃতীয়ার মাহাত্মটা উপলব্ধি করতে বলা হয়েছে। অক্ষত শব্দের অর্থ — আলো চাল। ওই আলো চাল মস্তকে ধারণ করে স্নান করার বিধানও রয়েছে।
এরপর রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর পূজা। এক্ষেত্রে নৈবেদ্যে আলো চাল ও ছাতু দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। নিয়মবিধি মেনে একবারও যদি কেউ এই ব্রত করেন, তাহলে অক্ষয় ফল লাভের আশা করতেই পারেন। একটা সময় অক্ষয় তৃতীয়ায় উপাসনাও করা হত। এখন চল অনেকটা কমে এলেও অক্ষয় তৃতীয়া আজও রয়েছে দেশবাসীর অন্তরে। বাংলা নতুন বছরে অক্ষয় তৃতীয়ার তিথিতেই গৃহপ্রবেশ, দোকান, ব্যবসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মাঙ্গলিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্রমতে এই দিনটি বেছে নেওয়ার রেওয়াজও রয়েছে।