কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবনে আম্ফান তাণ্ডবে আড়াই লক্ষের মতো গাছ ধ্বংস হয়েছে। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, সাগর, মথুরাপুর, গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং সহ কুলতলির বিস্তীর্ণ এলাকায় বিপর্যস্ত গাছ। আবার সুন্দরবনের দক্ষিণ প্রান্তের উপকূল এলাকাগুলিতে বিভিন্ন গাছ ও ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ধ্বংসলীলা চলেছে আম্ফান দাপটে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বুলবুলের চেয়ে আম্ফানে ৩ গুণ বেশি গাছের ক্ষতি হয়েছে।
আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবন এলাকা সহ জেলা জুড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে আড়াই লক্ষেরও বেশি ইউক্যালিপ্টাস, ঝাউ, মেহগিনি, বাবলা, বট সহ নানা ধরনের গাছ ভেঙেছে আম্ফানের ঝাপটায়। অন্যদিকে, বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের ৪ হাজার বর্গকিলোমিটারের জঙ্গলের মধ্যে ১৬০০ বর্গকিলোমিটার জঙ্গলে প্রায় ৩৫ শতাংশ ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ ক্ষতিগ্রস্ত। বাইন, গরান, কেওয়া, গেঁয়ো প্রজাতির গাছ আম্ফানে বিপর্যস্ত।
এবার নদীবাঁধের পাশে আমি, তাল ও খেজুর গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিতে চলেছে বনদপ্তর। এক্ষেত্রে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইসব গাছের শিকড় গভীর পর্যন্ত গিয়ে বাঁধের মাটি আঁকড়ে ধরে রাখায় ঝড়ের ঝাপটা সামাল দিতে পারবে।