অরণ্য ও মানবজীবনের লক্ষ্যে নিবেদিত-বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস
কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: অরণ্য এবং মানবজীবনের লক্ষ্যে নিবেদিত এই দিন। বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে এই বছরের থিম হল- “ফরেস্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড: সাসটেইনিং পিপল অ্যান্ড প্ল্যানেট”।
সারা বিশ্ব জুড়ে বিস্তৃত বৈচিত্র্যযুক্ত উদ্ভিদ এবং প্রাণীকুল। তবে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের মতো বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউনাইটেড নেশনস-এর এক বিবৃতিতে বিষয়টি সামনে এসেছে। চোরাশিকারিদের আক্রমণ ও নগরায়ণের ভিড়ে বিপর্যস্ত বিশ্বের উদ্ভিদ – প্রাণীকুল। এই প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী উদ্ভিদ-প্রাণী বৈচিত্র্যরক্ষায় ৩ মার্চ উদযাপন করা হয় বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবসটি ।
১৯৭৩ সালের ৩ মার্চ “দ্য কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইন এনডেঞ্জার্ড স্পেসিস অফ ওয়াইল্ড ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা” স্বাক্ষরিত হয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে। যা সংক্ষেপে-সিআইটিই এস (CITES)বলা হয়। এই দেশগুলির মধ্যে ভারতও যুক্ত। এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল-চোরাশিকারিদের আক্রমণে বন্যপ্রাণ অবলুপ্তির পথে যাতে এগিয়ে না যায় তা দেখা। কোনও পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যবসা না চলে, তাও দেখা। মূলত থাইল্যান্ডের প্রস্তাবে সম্মত হয়ে ইউনাইটেড নেশনস জেনারেল অ্যাসেম্বলি২০১৩ সালে এই চুক্তি স্বাক্ষরের দিনটিকে বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
জঙ্গলের ওপর অনেকের জীবনযাপন নির্ভরশীল। বনাঞ্চল কমে গেলে তাদের সমস্যা বাড়বে। ইউনাইটেড নেশনস-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, সারা বিশ্বের স্থলভাগের মধ্যে মাত্র ২৮ শতাংশ অঞ্চলে বনভূমি অটুট। জঙ্গলের ওপর জীবনধারণের জন্য নির্ভরশীল প্রায় ২০০ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন মানুষ। এই সংখ্যক মানুষের জীবনযাত্রার মান কীভাবে উন্নত করে তোলা যায়, কী ভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায় অরণ্যকে, সেই নিরিখে চলতি বছরে চলেছে জোর তৎপরতা বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবসে ।
খবরটি পড়ে ভালো লাগলে লাইক-কমেন্ট ও শেয়ার করে পাশে থাকবেন।