কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : স্বপ্ন সফল করতে প্রত্যয়ী মিঠুন চক্রবর্তী। ১৯৯৭ সাল। স্বপ্নের অ্যাকাডেমির জন্য গোটা বাংলা ঘুরেছেন। এক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য হল– প্রদর্শনী ম্যাচ খেলা ছাড়াও নানাভাবে অর্থ জোগাড় করা। ওই সময় শ্যুটিং ফ্লোরেও তাঁর পরিশ্রমের কথা অনেকেই ভুলতে পারেন না। বাংলার ফুটবলকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দেওয়ার তাগিদ ছিল। মিঠুনের প্রাণপণ চেষ্টারও ঘাটতি ছিল না।
ওই সময় বিভিন্ন প্রতিকূলতা সামলে স্বপ্ন সফল হয় তাঁর। সাতের দশকে প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে তাঁর প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। প্রায় ১০ বছর সল্টলেক সাইয়ের মাঠে রমরম করে চলেছিল বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমি। ওই সময় অভ্র মণ্ডল, অনুপম সরকার ও গৌরাঙ্গ দত্তরা উঠে এসেছিলেন। সে সময় কোচ ছিলেন বিদেশ বসু ও শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর শুরু হয় নানা দ্বন্দ্ব। ২০০৫ সালে নতুন কমিটি গঠন নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। অ্যাকাডেমিও বন্ধ হয়ে যায়।
জানা যায়, ওই সময়টাতে ধর্মতলার একটি পাঁচতারা হোটেলে মিঠুন চক্রবর্তীর নামেই “বুক” করা থাকত একটি ঘর। বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমির অঘোষিত অফিসও ছিল ওই ঘরটি। সাংবাদিক-সহ প্রাক্তন ফুটবলারদের সঙ্গে সেখানেই কথা হত তাঁর। আরও জানা গিয়েছে, প্রাক্তনদের মধ্যে বিতর্ক মেটানোর জন্য তাঁর চেষ্টায় বিন্দুমাত্র খামতি ছিল না। বাংলার ফুটবলের উন্নতির জন্য তাঁর প্রয়াসও কম ছিল না। সেই পুরনো স্বপ্ন সার্থক করতে এখনও মরিয়া তিনি। আজ ৬৯ বছরে পা রাখছেন তিনি। বাংলার ফুটবলের জন্য তাঁর এই প্রচেষ্টার কথা আজও আমরা মনে রেখেছি।