কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ঈষদুষ্ণ জলপানের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বিভিন্নমহল থেকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটি মোক্ষম দাওয়াই বলে অনেকে বলছেন। আবার অনেকে পাতিলেবু খালি পেটে খাওয়ার বিধানও দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিশেষ বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন। আয়ুষমন্ত্রকও এইসময় সুস্থ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে এমনই বিভিন্ন পরামর্শ নজর আসছে। গরম জল পান করা কতটা উপকারী আমরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঈষদুষ্ণ বলতে ৪০-৫০ ডিগ্রির মধ্যে পানীয় জলের গড় তাপমাত্রা থাকবে। তা হতে হবে চা-কফির চেয়ে কম গরম। ঘরের আবহে পানীয় জলের গড় তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছে, পর্যাপ্ত জলপানের যা উপকারিতা, গরম জলেও তাই রয়েছে। শ্বাসনালীর সংক্রমণে গরম জল আরামদায়ক ও উপকারী। এক্ষেত্রে স্বরতন্ত্রীর আর্দ্রতা ধরে রেখে অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। আবার ঈষদুষ্ণ জল পানে কফ সংক্রমণ কমে যায়। জ্বরের ক্ষেত্রেও উপকারে আসে। হজমে বিশেষ সহায়ক। পাশাপাশি ক্ষিদে বাড়ায় এবং বিপাকজনিত বর্জ্য কমাতে সাহায্য করে। আবার পেটফাঁপা ও পেটের পেশির যন্ত্রণা কমাতে সহায়তা করে। মাথাব্যথার ক্ষেত্রেও অনেকটা উপকারী।
লেবুর ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লেবুতে থাকা অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড ভিটামিন-সি। তা জলে মিশিয়ে পান করলে ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। অম্বলে ও খালি পেটে লেবুজল অনেকেই পছন্দ করে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের একাংশ এবিষয়ে জানিয়েছেন, খালি পেটে খাদ্যনালীর অম্লমাত্রার নিরিখে অ্যাসকর্বিক অ্যাসিডের শোষণ ভাল হয় মানুষের শরীরে। তবে প্রতিদিন জলপান স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে থাকা চাই। তা না হলে কিডনি ও রক্তচাপের বিপদ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে, এমনও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।