কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেই রীতিমতো প্রথা মেনে কালীঘাট মন্দিরের মা-কে নিবেদনের জন্য প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে ১৫ রকম ব্যঞ্জন। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে একদিনের জন্য দুপুরের ভোগ নিবেদনের সময় পরিবর্তন হয়নি। আবার সন্ধ্যায় মা দক্ষিণাকালীকে শীতল ভোগ দেওয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বহাল রয়েছে।
মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক ব্রাহ্মণ পরিবার বংশপরম্পরা ধরে এই কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। আরও জানা গিয়েছে, স্নান সেরে বাড়ির কুলদেবতাকে পুজো করে মায়ের মন্দিরের ভোগঘরে চলে আসতে হয় মায়ের পুজোর জন্য। মন্দির সূত্রের খবর, মা-কে নিবেদনের জন্য প্রতিদিন “ভোগঘর”-এ রান্না হয়। মন্দিরের কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্রাহ্মণরা তা তৈরি করে মা-কে নিবেদন করেন।

মন্দির সূত্রের আরও খবর, কালীঘাট মন্দিরের “ভোগঘর”-এ রয়েছে ৪টি বড় উনুন। প্রতিদিন ২টি করে ভোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। কালীপুজো, দুর্গাপুজো সহ বিশেষ বিশেষ দিনে ৪টি উনুনই জ্বালানো হয়ে থাকে। প্রাচীন প্রথা মেনে কাঠ দিয়ে রান্না করা হয় মায়ের ভোগ। গ্যাস বা কয়লা ব্যবহৃত হয় না। মন্দির সূত্রে আর জানা যায়, মায়ের ভোগ নিবেদনের জন্য একমাত্র লোহার কড়াই ছাড়া বাকি সব বাসনই পিতলের।
এক্ষেত্রে পালাদারদেরই দায়িত্ব পড়ে মায়ের সেবা কাজের। যেদিন যাঁর দায়িত্ব পড়ে সেই পালাদারই সমস্ত বাসনপত্র ভোগঘরে নিয়ে যান। ৫টি বড় মাপের পিতলের থালায় নানা ব্যঞ্জন সাজিয়ে দুপুরে মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যারতির পর মাকে শীতল ভোগ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, গাওয়া ঘি দিয়ে তৈরি লুচি ও আলুভাজা। রাবড়ি সহ ৫ রকম মিষ্টিও থাকে। এক্ষেত্রেও পিতলের থালায় তা সাজিয়ে দেওয়া হয়।