কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : চিনকে সতর্ক করে ভারতের পাশে থাকার স্পষ্ট বার্তা আমেরিকার। সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রের খবর, ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আবার জি-৭ গোষ্ঠীর বৈঠকেও মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য, আমেরিকার বার্তার পর ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা রীতিমতো আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত।
অন্যদিকে মার্কিন বিদেশ সচিবও চিনকে আগ্রাসনকারীর তকমা দিয়েছেন। মার্কিন সংসদের বিদেশ সংক্রান্ত কমিটির স্পষ্ট বক্তব্য, প্রতিবেশিদের সঙ্গে অবিলম্বে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বন্ধ করুক চিন। আমরা সতর্ক করছি, ভারতের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানোর জন্য। এ বিষয়ে রাশিয়ার আরও বক্তব্য, আমরা আশা করব উভয় দেশ আলাপ-আলোচনার পথ খোলা রাখবে।
অন্যদিকে এই চরম উত্তাপের মধ্যেই শেষ পর্যন্ত সীমান্ত সমস্যার সমাধান খুঁজতে ভারত ও চিন সেনা পর্যায়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠক হবে আগামী ৬ জুন, এমনটাই জানা গিয়েছে। দুই বাহিনীরই উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকরা ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। নেপালের ভারত-বিরোধী অবস্থান নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ওদের সঙ্গে ভারতের চরম বিরোধ বা সংঘাত হতে পারে, এটা কল্পনাই করা যায় না। তবে চিন নিয়ে বর্তমানে আমেরিকা তার তীব্র ক্ষোভ গোপন রাখেনি। লাদাখ সীমান্তে চিনের সেনাবাহিনীর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করার ঘটনাকে মার্কিন সরকার স্বৈরাচারী শাসন বলেছে।
আবার মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও জানা গিয়েছে, চিনের সেনা ভারতের উত্তর প্রান্তের দিকে ধীরে-ধীরে এগিয়ে চলেছে। চিনের আচরণ সম্পূর্ণ স্বৈরতান্ত্রিক। দক্ষিণ চিন সাগরেও একইভাবে আগ্রাসন দেখাচ্ছে চিন। মাইক পম্পেও এ বিষয়ে আরও জানান, চিনের এই আগ্রাসন রুখতে আমেরিকার একটা দায়িত্ব রয়েছে এবং আমরা সেটা পালন করব। চিন ভারতের দিকে এগোচ্ছে, হংকংয়ের স্বাধীন অবস্থান ছিনিয়ে নিতে চাইছে, দক্ষিণ চিন সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে আন্তর্জাতিক নিয়মকে। এভাবে গোটা বিশ্বের কাছে চিন ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।