কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: একটানা প্রায় ৬ সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ধাপে ধাপে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করল রেলমন্ত্রক। সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে দিল্লি থেকে হাওড়া সহ দেশের ১৫টি শহরের মধ্যে ১৫ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে বলে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রেলমন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল ৪টে থেকে ওই ট্রেনগুলির টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শুধু আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইটে টিকিট পাওয়া যাবে। রেল স্টেশন বা রিজার্ভেশন কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাবে না। তৃতীয় দফার লকডাউন ১৭ মে শেষ হওয়ার পূর্বেই রেলমন্ত্রক ট্রেন পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব এবং সাবধানতা বজায় রেখেই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, তা আন্দাজ করা যাচ্ছে।
আবার এই পরিস্থিতিতে আজ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ১৫ জোড়া ট্রেন চলবে। সেগুলি হল– নয়াদিল্লি থেকে হাওড়া, ডিব্রুগড়, পাটনা, আগরতলা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকেন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, তিরুঅনন্তপুরম, মাডগাঁও, মুম্বাই সেন্ট্রাল, আমেদাবাদ, জম্মু-তাওয়াই।
যাত্রীদের আবশ্যিক শর্ত মানতে হবে। যেমন মাস্ক বাধ্যতামূলক, ট্রেনে ওঠার আগে করোনার স্ক্রিনিং, লক্ষণ না থাকলে তবেই সফর, স্টেশনে ঢুকতে বৈধ কনফার্ম টিকিট। উল্লখ্য, লকডাউনের পূর্বে গোটা দেশের প্রায় ১২ হাজার ট্রেন চলত। ২৫ মার্চ দেশব্যাপী লকডাউন জারি হওয়ার পূর্বেই ২২ মার্চ মধ্যরাত থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেল।