কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ৪০ দিন পর প্রকাশ হয়েছে মাদ্রাসা এডুকেশনের ফল। ৭ মার্চ হাই মাদ্রাসা, আলিম এবং ফাজিল শ্রেণীর পরীক্ষা শুরু হয়। ২১ মার্চ পর্যন্ত চলে এই পরীক্ষা। উল্লেখ্য,২০২১ সালে প্রতিটি পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ পাশের হার থাকলেও ২০২২ সালে তা বদল হল।
আজ পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে ফল প্রকাশ করেন মাদ্রাসা এডুকেশনের সভাপতি আবু তাহের কামরউদ্দিন। ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি মান্নাফ আলী ও ডেপুটি সেক্রেটারি সাবানা শামীম। আজ বেলা ১২টার পর থেকে www.wbbme.org www.wbresults.nic.in এবং www.exametc.com ওয়েবসাইটে ফল দেখতে পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে । এছাড়াও 56070 নম্বরে WBBME < স্পেস> <রোল নম্বর> দিয়ে এসএমএস করলে ফল জানতে পারবেন।
এক্ষেত্রে বলা হয়েছে,চলতি বছর হাই মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৫৬৬০০ জন। যাঁদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১৮৩৭৬ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৮২২৪জন। এই সালে হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮৭.০২ শতাংশ। যাঁদের মধ্যে ১৫১৭৯ জন ছাত্র এবং ৩২৬১৯ জন ছাত্রী পাশ করেছে। হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় এবছর শীর্ষ স্থান দখল করেছেন মালদা জেলার বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার ছাত্রী শরিফা খাতুন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৮৬। আবার ৭৭৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে একই মাদ্রাসার ইমরানা আফরোজ।
চলতি বছর আলীম পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১২০৭৪ জন। যাঁদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৫৩৫৩ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৬৭২১জন। এই সালে আলীম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮৯.৮৭ শতাংশ। যাঁদের মধ্যে ৫০৫০ জন ছাত্র এবং ৫৭০৭ জন ছাত্রী পাশ করেছে। আলীম পরীক্ষায় এবছর যুগ্ম ভাবে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছেন মুর্শিদাবাদের সুলতানপুর আলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র মহম্মদ আলফাজ শেখ এবং উত্তর ২৪ পরগনার আমদাঙা কেন্দ্রীয় সিদ্দিকীয়া হামিদিয়া রাহানা সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র মহম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম। তাদের দুজনের প্রাপ্ত নম্বর ৮৪০। ৮২৭ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন হুগলির ফুরফুরা ফতেহি সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র শেখ শাহিদ আখতার।
অন্যদিকে চলতি বছর ফাজিল পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৫০৩৪ জন। যাদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ২৬১৪ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ২৪২০জন। এই সালে ফাজিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯০.৬৮ শতাংশ। যাদের মধ্যে ২৪৬৮ জন ছাত্র এবং ২০৭৭ জন ছাত্রী পাশ করেছেন । ফাজিল পরীক্ষায় এবছর শীর্ষ স্থান পেয়েছেন মালদার দারিয়া সেরাজুলোলুম সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র মহম্মদ আলকম। প্রাপ্ত নম্বর ৫৫৫। আবার ৫৫৩ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার আমিনপুর কে এম সি সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র সাবির আলী মোল্লা।
