কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: জাতীয় শিক্ষানীতি -২০২২ নিয়ে চলেছে আলোচনা। প্রায় ৩৪ বছর পর কেন্দ্রীয় সরকার নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রকাশ করেছে। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রকাশ পেয়েছিল ১৯৮৬ সাল নাগাদ। এক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতির দলিলটি ৪টি পর্বে বিন্যস্ত করা হয়েছে। যেমন- (১) স্কুল শিক্ষা (২) উচ্চশিক্ষা (৩) প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষা (৪) পথসংক্রান্ত আলোচনা।
এ বিষয়ে আরও বিশদে জানা গিয়েছে, স্কুলশিক্ষার প্রচলিত ১০+২ কাঠামোর পরিবর্তে ৫+৩+৩+৪ কাঠামো প্রচলিত হচ্ছে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি ও তার আগের প্ৰাক প্রাথমিক পর্বের ৩ বছর, তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি ৩ বছর, আবার ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি ৩ বছর এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি ৪ বছর। এই পদ্ধতিতে মেনেই ৫+৩+৩+৪ কাঠামোটি তৈরি হয়েছে।
এক্ষেত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাক প্রাথমিক পর্ব থেকে খেলার মাধ্যমে অ্যাকষ্টিভিটি বেড লার্নিং-এর বিষয়। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে অক্ষর ও সংখ্যাজ্ঞান শেখানোর ব্যবস্থা। পাশাপাশি তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি বিজ্ঞান, ভাষা, গণিত বা শারীরশিক্ষার পরিচয় করানো। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পৃথকভাবে বিষয়ভিত্তিক পাঠদান পর্ব রয়েছে।
আবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি পর্বে ৮টি সেমেস্টার থাকছে। কলা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান প্রভৃতি ভাগগুলো থাকবে না। বিভিন্ন বিষয় মিলিয়ে মিশিয়ে পড়ানো হবে। অন্যদিকে কোনও শিক্ষার্থী ইচ্ছা প্রকাশ করলে পদার্থবিদ্যার সঙ্গে ফ্যাশন টেকনোলজি পড়তে পারবে। এক্ষেত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বোর্ড প্রচলিত দশম শ্রেণির প্রচলিত পরীক্ষার তেমন গুরুত্ব থাকছে না। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা বা স্থানীয় ভাষায় পড়ানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত বিষয়ে আরও জানা যায়, উচ্চশিক্ষার স্নাতক স্তরের পাঠক্রম ৩ বছরের পরিবর্তে ৪ বছরের হবে। প্রবর্তিত হবে মাল্টিপল এন্ট্রি এবং এক্সিস্ট সিস্টেম পড়াশোনার মাঝপথে কোনও শিক্ষার্থী পড়া ছেড়ে দিলে যেখানে সে ছেড়ে দিয়েছিল সেখান থেকেই আবার তা শুরু করতে পারবে। প্রচলিত এমফিল কোর্সটি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। ৪ বছরের স্নাতকরা সরাসরি গবেষণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে,সেই সুযোগ থাকছে। এছাড়া আইন ও চিকিৎসাবিদ্যা ছাড়া অন্যসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ থাকবে Higher Education Commission of India-র হাতে।
গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আবার স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায় থেকে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। তবে নতুন শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে বেশ কিছু সংশয় রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞমহলের একাংশ মনে করছেন। পূর্বের ও নতুন শিক্ষানীতির গুরুত্ব নিয়ে চর্চা চলেছে। এ বিষয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে পরবর্তী সময়ে।