আমার বাংলা নিজস্ব প্রতিনিধি: সরস্বতী বিদ্যার দেবী। আগামী ২৬ জানুয়ারি এই দেবীর আরাধনা। প্রচলিত রয়েছে,সরস্বতীকে তুষ্ট করার জন্য মহামুনি ব্যাসদেব তপস্যায় মগ্ন হয়েছিলেন। এক্ষেত্রে জানা যায়,সেই তপস্যা শুরুর পূর্বে একটা শর্ত ছিল- ব্যাসদেবের তপস্যা স্থলের কাছে একটি কুল বীজ রাখা হবে। সেই কুলবীজ অঙ্কুরিত হবে। এরপর সেই চারায় গাছ হবে। গাছের ফুল থেকে নতুন কুল হবে। তারপর তা পেঁকে ব্যাসদেবের মাথায় পড়বে। সেইদিন তপস্যার সমাপ্তি ঘটবে। সরস্বতী দেবী তুষ্ট হলেই মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হবে।
ব্যাসদেব সেই শর্ত মেনেই তপস্যা শুরু করেছিলেন বলে প্রচলিত রয়েছে। প্রকৃতির নিয়মে ফুল থেকে নতুন কুল হয়ে তা পক্ক হয়ে ব্যাসদেবের মাথায় পড়ল। মহামুনি বুঝতে পেরেছিলেন তার সরস্বতী তপস্যা পূর্ণ হয়েছে। আমরা অনেকেই জানি না-কুল এর অন্য নাম বদ্রী। তপস্যার সাথে বদ্রী নামের সম্পর্ক থাকায় এই স্থানটির নাম হয় বদরিকাশ্রম। সেই দিনটি ছিল শ্রীপঞ্চমী। ওইদিনে বেদমাতা সরস্বতীকে কুল বা বদ্রী ফল নিবেদন করে মহামুনি ব্যাসদেব ব্রহ্মসূত্র রচনা আরম্ভ করেছিলেন। দেবী সরস্বতীও তুষ্ট হয়েছিলেন। সেই নিয়ম মেনেই শ্রীপঞ্চমীর দিন সরস্বতী দেবীকে কুল নিবেদন করার পরই কুল খেয়ে থাকি। (ছবি: সংগৃহীত)