কাজকেরিয়ার নিজস্ব প্রতিনিধি : ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। প্রায় গোটা বিশ্বে বড়দিনের উৎসব পালিত হয়। প্রচলিত রয়েছে, ঈশ্বর পুত্র যীশু খ্রিস্টের জন্মদিনকে স্মরণ করেই দিনটি উৎযাপন করা হয়। এই দিনটি থেকেই খ্রিস্টধর্মের ১২ দিন ব্যাপী ক্রিসমাসটাইড অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়ে থাকে।ক্রিসমাস ট্রি নিয়েও মাতামাতি দেখা যায়। এই ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর রীতি বা প্রথা হাজার বছর পূর্বের। জানা যায়,উত্তর ইউরোপে ফার গাছকে এই নিয়মে সাজানো হতো। ফার গাছ ছাড়াও আলো দিয়ে সাজানো হতো চেরি গাছকে। এমনকী কাঠের টুকরো একত্রিত করে ত্রিভুজ আকার দিয়ে তাকে সাজানো হতো। এই প্রচলন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।
সান্টা ক্লজ নিয়ে একটা প্রচলিত গল্প রয়েছে। এশিয়া মাইনরের মায়েরাতে যা এখন তুর্কিস্তান। সেখানে সেন্ট নিকোলাস নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন। যিনি খুবই বিত্তশালী ছিলেন। গরিব মানুষের দুঃখে-কষ্টে তাঁর হৃদয় ব্যাথিত হতো। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন তিনি। একদিন নিকোলাস জানতে পারলেন, একটি হতদরিদ্র মানুষের তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আর্থিক অভাবের কারণে ওই কন্যাদের বিবাহ হচ্ছে না।
একথা জানার পর ওই মানুষটির বাড়ির ছাদের ওপর সোনার ভরা ব্যাগ রেখে এলেন। গরিব মানুষটি বাড়ির ছাদে মোজা শুকাতে দিয়েছিলেন। ওই মোজা থেকে সোনা ভরা ব্যাগ পড়ে যায়। নিকোলাস গোপন ভাবেই এই উপহার তুলে দিয়েছিলেন অসহায় মানুষটির জন্য। এরপর থেকেই কেউ কোনও গোপন উপহার পেলেই ভাবেন এটা নিকোলাস দিয়েছেন। সেন্ট নিকোলাসই সবার কাছে হয়ে গেলেন সান্টা ক্লজ। (ছবি:সংগৃহীত)