Home Miscellaneous বঙ্গে সরস্বতী আরাধনার সূচনা

বঙ্গে সরস্বতী আরাধনার সূচনা

49
0
idol and saraswati
idol and saraswati

কাজকেরিয়ার নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী কাল সরস্বতী পুজো। বীণাপাণির আরাধনা। পঞ্জিকা ও শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী জানা যায়,এ বছর পঞ্চমী তিথি শুরু হচ্ছে আজ২৫ জানুয়ারি থেকেই। দুপুর ১২ টা ৩৪ মিনিটে এই তিথির শুরু। এরপর পঞ্চমী তিথি থাকবে আগামী ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০ টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত। শাস্ত্র ও পণ্ডিত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারি সূর্যোদয়ের সময় পঞ্চমী তিথি থাকার কারণে ওইদিনই পালিত হবে সরস্বতী পুজো।

বিদ্যা ও বুদ্ধি লাভের প্রত্যাশায় প্রতি বছর ঘরে ঘরে সরস্বতী পুজো হয়ে থাকে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,অফিস সহ বিভিন্ন স্থানে পূজিত হয়ে থাকেন দেবী সরস্বতী। শিশু-কিশোরদের কাছে এটি সেরা উৎসব। বাগদেবীর বন্দনার সূচনা নিয়ে অনেক মতামত পাওয়া যায়। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের সরস্বতী চর্চা ও বিবরণ অনুযায়ী জানা যায়,হাওড়া জেলায় প্রথম পাথরের সরস্বতী মন্দিরের নিদর্শন মেলে।

সরস্বতী দেবী নিত্যদিন পূজিতা হতে পারেন,এই ধারণাটা অনেকেরই নেই। মন্দিরে নিত্য পূজিতা হয়ে থাকেন বাগদেবী। গোটা দেশে সরস্বতী মন্দিরের সংখ‍্যা খুব বেশি দেখা যায় না। বাংলায় বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন দেব-দেবীর মন্দির দেখা যায় । তবে বিদ্যাদেবীর মন্দির দেখা যায় না। অবাক হওয়ার মতোই বিষয়টি। বঙ্গে প্রথম পাথরের তৈরি সরস্বতী মন্দির রয়েছে যা অবস্থিত মধ্য হাওড়ায়। শতবর্ষ প্রাচীন এই মন্দির বলেও জানা যায়। এমনকী নিত্য পুজোও হয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞ মহলের সরস্বতী চর্চা ও বিবরণ অনুযায়ী উল্লেখ পাওয়া যায়, হাওড়ার পঞ্চাননতলা রোড সংলগ্ন বঙ্কিম পার্কের পাশে উমেশচন্দ্র দাস লেনে এই মন্দির অবস্থিত। ১৯২৩ সালের ২৮ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই মন্দির। রাজ্যের অন্যান্য স্থানে সরস্বতী মন্দির তৈরি হওয়ার পূর্বে পঞ্চাননতলার মন্দিরটিকেই রাজ্যের একমাত্র সরস্বতী মন্দির বলে মনে করা হয় । এখানে ১০৮টি মাটির পাত্রে বিশেষ ধরনের বড় বাতাসা ও ফল দিয়ে শ্বেত পাথরের সরস্বতী প্রতিমাকে পুজো দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে আরও জানা যায়, ১৯২৩ সালের তৎকালীন সময়ে রাজস্থান রাজ্যের জয়পুর শহর থেকে শ্বেত পাথরের সরস্বতী মূর্তি এনে বাড়িতে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন উমেশচন্দ্র দাস। তাঁর আদি বাড়ি ছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতে। প্রচলিত রয়েছে বর্গী হামলার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ওই পরিবার পরবর্তী সময়ে হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় চলে আসেন।
(ছবি: সংগৃহীত)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here